শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৮:২৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন বাউফলে ‘খেলাফত মজলিস’ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে আল কারীম কওমী মাদরাসার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মেহেন্দিগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত
উজিরপুরে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় বাবা-ছেলে গ্রেফতার

উজিরপুরে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় বাবা-ছেলে গ্রেফতার

Sharing is caring!

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ওটরা থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল উদ্ধারের পর দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- উজিরপুরের মধ্য কেশবাকাঠী এলাকার মো. আ. ছালাম মৃধা (৬০) ও তার ছেলে মো. রিয়াজ মৃধা (২৫)।

গ্রেফতারের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক সানা মো. মাহরুফ হোসাইন গ্রেফতার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, গতবছরের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে উজিরপুরের পূর্ব ওটরা এলাকার বাসিন্দা মো. আ. হালিম হাওলাদারের ছেলে কাওসার হোসেন (৩২) নিখোঁজ হন। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরে একইবছরের ৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব ওটরাস্থ মান্নান মিয়ার বাগানের শুকনা ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মো. আ. হালিম হাওলাদার ও তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে যান এবং কঙ্কালের শরীরে জড়ানো সাদা রংয়ের জ্যাকেট এবং একটি মানিব্যাগের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় যে, এটি মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল।

পরে ওইদিনই এ ঘটনায় মৃত কাওসারের বাবা মো. আ. হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় থানা পুলিশ তদন্তে নেমে ৪০ দিনের মধ্যে একটি ক্লু পায়। যে ক্লু অনুযায়ী গ্রেফতার মো. আ. ছালাম মৃধার মেয়ে খাদিজা বেগম (২৮) ও প্রবাসী ছেলে তুহিন মৃধার সাবেক স্ত্রী শিমু বেগম (২২) এর সঙ্গে মৃত কাওসারের পরকীয়া ছিলো বলে জানতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি তুহিম মৃধার মৃত কাওসারের পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরেই তার স্ত্রী শিমু বেগমের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে।

এসব ঘটনার পর গ্রেফতার আসামিসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসা সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নিখোঁজের আগ মুহূর্তে ওটরা রাস্তার মাথার বাজারে আসামিরা ও তাদের সহযোগীরা মৃত কাওসার হোসেনের সঙ্গে চা পান করে এবং গ্রেফতাররাই রাত বেশি হয়ে যাওয়ার অজুহাতে কাওসারকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। আর এরপর থেকেই কাওসার নিখোঁজ হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD